আজঃ মঙ্গলবার | ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজঃ মঙ্গলবার | ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:১৩

মুন্সিগঞ্জে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছনা, হত্যার হুমকি

,

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় রজতরেখা নদী দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিক শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এ সময় তাঁদের হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

রোববার বেলা একটার দিকে উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের ছোট ভাই ইসমাঈল ব্যাপারী ও তাঁর ছেলে ইসহাক ব্যাপারী সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লাঞ্ছনার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন প্রথম আলোর মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সাল হোসেন ও দৈনিক দেশের কণ্ঠের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক জানান, ঐতিহ্যবাহী রজতরেখা নদীর উৎসমুখ ভরাট করে কয়েক বছর ধরে সেখানে বালুর ব্যবসা করছেন ইসমাঈল ব্যাপারী। এতে নদীটি শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়। এই সুযোগে ইসমাঈল, তাঁর ভাই আবুল হাসেম, তাঁদের চাচাতো ভাই শাহাদাত ব্যাপারীসহ অনেকেই নদীটির দুই পাশে দোকানপাটসহ স্থাপনা নির্মাণ করে নদীর জায়গা দখলে নিয়েছেন। নদী দখলের চিত্র মুঠোফোনে ধারণ করছিলেন দুই সাংবাদিক। একপর্যায়ে সেখানে ছেলে ইসহাককে (১৯) সেখানে পাঠান ইসমাঈল। ঘটনাস্থলে এসেই ফয়সালকে ধাক্কা মারেন ইসহাক। এরপর তাঁর হাতে ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। তাঁদের লোকজন তাঁকে মারার জন্য লাঠিসোঁটা হাতে নেন। এ সময় তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ইসহাক সরে যান।

স্থানীয় লোকজন জানান, ইসমাঈল, তাঁর ছেলে ইসহাক চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল, অবৈধভাবে নদী ভরাট করছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পান না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসমাঈল ব্যাপারী বলেন, ‘দুপুরে আমার ছেলে ইসহাক এই সাংবাদিককে মোবাইলে ছবি তুলতে দেখে। এরপরই সে আমাকে কল দিয়ে এ ঘটনা জানায়। আমিও দ্রুত সেখানে গিয়ে তাকে (সাংবাদিক) বলি, তুমি আমার ছেলের মতো, চলে যাও। তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বয়সে ছোট ইসহাক কীভাবে ওই সাংবাদিককে মারতে পারে?’

ইসমাঈল ব্যাপারী আরও বলেন, ‘এই সাংবাদিক তিন–চার বছর ধরেই আমার পেছনে লেগে আছে। নদী দখল করে আমরা নাকি বালুর ব্যবসা করি—এমন খবর এর আগেও কয়েকবার ছেপেছে। আর খবর ছাপা হলেই ডিসি, ইউএনও ও এসি ল্যান্ডরা এসে আমাদের জায়গা মাপামাপি করে। এ পর্যন্ত সাত–আটবার আমাদের জায়গা মাপামাপি করার পর তাঁরা বুঝতে পেরেছেন এই সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানাধীন।’

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রিয় মহাকালীবাসী, আস্সালামুআলাইকুম...আমি ডাঃ নাজমুল ইসলাম (হৃদয়), পিতাঃ রিয়াজুল ইসলাম বিরাজ (বীর মুক্তিযোদ্ধা), চেয়ারম্যান মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদ, মাতাঃমেহেরুন্নেসা নাজমা দুইবারের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ। আমার স্ত্রী ডাঃ ইসরাত জাহান মোগল। আমার বাবা একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমিও গত ২বছর যাবৎ স্কয়ার হসপিটালে করোনা ইউনিটের একজন সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।এখন আমি নিজেকে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে আগামী ইউপি নির্বাচনে -২০২১ একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী। আপনাদের সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
ডাঃ নাজমুল ইসলাম
চেয়ারম্যান পদপর্থী